রবিবার, ০৮ Jun ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মাদারীপুরে ডাসারে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়ের জন্য চাপ দিতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মুর্শিদা আক্তার নামের এক কিশোরীকে।
এই ঘটনায় নিহতের ১১ মাস পর কিশোরীর মরদেহ শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে প্রেমিক সাহাবুদ্দিন আকনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিনের মা হাসিনা বেগম তার সন্তানের বিচার চান।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া জানান, সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে মুর্শিদার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এই সম্পর্কের সূত্রেই একাধিক বার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর মুর্শিদা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। পরে পরিকল্পনা করে সাহাবুদ্দিন একদিন মুর্শিদাকে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে যান সাহাবুদ্দিন। এরপর নিখোঁজ থাকায় ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করে।
এতে কোনো প্রতিকার না হওয়ায় ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম। দীর্ঘদিন মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পন করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন আদালতে। তবে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে সাহাবুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয় এবং লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেন। সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্যে সন্ধ্যা ৮টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মা মাহিনুর বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে ফ্রেবুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে তার বাসায় নিয়ে যায় সাহাবুদ্দিন। তার সাথে বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। এরপর দীর্ঘদিন নিঁখোজ থাকায় থানায় গেলেও পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। পরে মামলা হলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করেনি। আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করে।
সাহাবুদ্দিনকে আমরা যাতে সন্দেহ না করি এজন্য সে সবসময় আমার সঙ্গেই থাকতো। জিডি করতেও আমার সাথে থানায় গিয়েছিল। সে ঠান্ডা মাথার খুনি। আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিনের মা হাসিনা বেগম নিজের ছেলের বিচার দাবি করে বলেন, ‘মুর্শিদা খুব ভালো মেয়ে ছিলো। তাকে কেন খুন করেছে তা জানি না। তবে এই খুনের বিচার হওয়া উচিত। সে যেই হোক।’
এসএস